স্কুলের সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষায় ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখ এ সংক্রান্ত একটা প্রশ্ন আসবেই। কিন্তু ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে কিভাবে পত্র লিখতে হবে তা অনেকেই জানেন না।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিম্নে ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লেখার একটি নমুনা পত্র উল্লেখ করা হলো।
ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি
তারিখ: ১০ এপ্রিল ২০২৫
রাজশাহী
প্রিয় রাহাত,
প্রথমে আমার সালাম নিও। অনেকদিন হলো তোমার কোন চিঠি পাচ্ছি না। আশা করি, তুমি ভালো আছো। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। এবারের বনভোজনে আমি, আমার স্কুলের বন্ধু ও শিক্ষকরা মিলে ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থানগড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। এই পত্রে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় ভ্রমণ সংক্রান্ত আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরব।
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের প্রাচীনতম পুণ্ড্রনগর নামে অধিক পরিচিত। জানো একটা সময় এই মহাস্থানগড় বাংলাদেশের রাজধানীও ছিল। মহাস্থানগড় বিখ্যাত করতোয়া নদীর পাশেই অবস্থিত। এখানে দেখার মত বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক জিনিস রয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম হলো বেহুলা ও লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘর। যা দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করে। এছাড়া এখানে মহাস্থানগড়ের স্মৃতিস্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ সত্যিই দেখার মতো জিনিস। আমরা সবাই মিলে স্মৃতিস্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ দেখে অবাক হয়েছি।
মহাস্থানগড় সম্পর্কে আমাদের পাঠ্য বইয়ে যা উল্লেখ ছিল সবকিছুই আমি দেখে এসেছি। ভ্রমণের প্রায় বেশিরভাগ সময় আমি মহাস্থানগড়ের সব জায়গা দেখে নিয়েছি। তারপরে সন্ধ্যা নামার আগেই আমরা সবাই স্কুলে ফিরে আসি। তোমাকেও মহাস্থানগড় ভ্রমণ করার পরামর্শ দিলাম। আজ আর নয় বন্ধু। ভালো থেকো।
ইতি
মোঃ শরিফুল রাজ
শেষ কথা
উপরে ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লেখার একটি নমুনা পত্র উল্লেখ করা হয়েছে। উপরের নমুনাপত্র অনুসরণ করে আপনার বন্ধুকে আপনি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পত্র লিখতে পারবেন।